রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন
রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে, বিজয়নগর ও কমলাপুরসহ কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে, বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে এবং কমলাপুরে বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেড আর বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের কারণে বলাকা পরিবহনের বাসটি ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে রামপুরা সড়কে চলে যেতে চায়। কিন্তু মৌচাক মোড়ের ঠিক ওপরে লাঠিসোঁটা হাতে একদল যুবক বাসের গতিরোধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। একপর্যায়ে হামলাকারীরা বাসে আগুন দেন।
এদিকে বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দেখা যায় আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে বাসটি। সেখান থেকে পাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। ওপরের বৈদ্যুতিক তার পর্যন্ত আগুন পৌঁছে যাওয়ায় পাশের খুঁটিতে বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়।
অপরদিকে, রাজধানীর কমলাপুরে বিআরটিসি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, মৌচাক ফ্লাইওভারে বলাকা বাসে, কমলাপুরে বিআরটিসি বাসে এবং বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। আগুনে বাসগুলো পুড়েছে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
এফআর/অননিউজ