কুমিল্লায় শালিশী বৈঠকে হামলা গুরুতর আহত বাবা ছেলে

মোঃ দেলোয়ার হোসেন।।

কুমিল্লা সদর চম্পকনগরে (সাতরা) শালিশী বৈঠকে হামলার ঘটনা গুরুতর আহত হয়েছে দুই জন। গতকাল ১৫ জানুয়ারী শনিবার বিকেল ৫ টা দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর সাতরা গ্রামের বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন বাড়ির সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন তারা। তবে পরিবারের দাবি ছেলে সাব্বির আহমেদ পুলককে হত্যার উদ্দেশ্য আহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা সুষ্ঠ সমাধান চান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর (সাতরা) গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আমিনুল হক (আমিন) গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একেই গ্রামের জাহাঙ্গীর এর সাথে জাহাঙ্গীরের। জমি দখল করতে গেল বিএনপির নেতা কামাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর এর পক্ষ নিয়ে বাধা প্রদান করলে এর থেকে জামেলার সূত্রপাত শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ওই বিরোধ মিমাংসায় এলাকার স্থানীয় এমপি আ’ক’ম বাহাউদ্দীন বাহার ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক কামাল উদ্দিনের বাড়ির সামনে শনিবার শালিশী বৈঠক বসে। তবে ঐ শালিশী বৈঠকেই উভয় পক্ষ আবারোও মারামারিতে লিপ্ত হয়।

এসময় কামাল মিয়া ও তার ছেলে সাব্বির আহমেদ পুলক গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি মো: সাব্বির আহমেদ পুলক অভিযোগ করে বলেন, ওঠান বৈঠকে আমিন চেয়ারম্যান পরিকল্পনা করে এসেছে আমাকে আর আমার বাবা কে মেরে ফেলার জন্য। তার সাথে আমার বাবার রাজনৈতিক ভাবে অমিল থাকায় এলাকার অপকর্ম গুলো আমার বাবা করতে গেলে বাধা দেওয়ায় সেজন্য সে আমাদের মেরে ফেলতে চায়। কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীর কাকার জমি দখল করতে গেলে জাহাঙ্গীর কাকার পক্ষে বাধা দেওয়ায় পরে দলবল নিয়ে আমিন চেয়ারম্যান তার লোক রিয়াদ কে সাথে নিয়ে আমাদের বাসায় হমলা করতে আসে।

এসময় ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন জানান, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শালিশী বৈঠকে সবার সামনে আমিনুল হক চেয়ারম্যান ও তার ভাই ফজল ও বাতিজা জলিলসহ প্রায় ১৫/২০ জন আমাদের উপর আক্রমন করে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে আমার ছেলেকে বড় দা দিয়ে হাতে কুপ মারে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে । আমার মাথায় তিনটি সেলাই রয়েছে আমিন চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সে দলের ক্ষমতা দেখায়, পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে । আমাদের বাবা ছেলে দুজনকে মেরে আহত করেছে তারা। তাছাড়া জলিল ভালো হাতে বেন্ডেজ লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন ও তার ছেলে সাব্বির আহমেদ পুলক।

এবিষয়ে আমিনুল হক চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সানজুর মোরশেদ খান জানান, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।

আরো দেখুনঃ