পিরোজপুরের পথে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ
আজ সকালে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়া হচ্ছে। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে সাঈদীর মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িটি পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় শাহবাগে বিক্ষোভরত জামায়াত-শিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। এ সময় জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়। পরে সাঈদীর মরদেহগামী গাড়ি পুলিশ পাহারায় পিরোজপুরের পথে রওয়ানা হয়। পুলিশের অ্যাকশনের সময় বিক্ষোভরত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিএসএমএমইউ’র সামনের সড়কে একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি ভাঙচুর করে।
সাঈদীর মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’উল্লেখ করে বিক্ষোভ করেন তারা। সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর আগে গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তার মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে শাহবাগ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা জড়ো হন।
শাহবাগ মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের (সাবেক শেরাটন হোটেল) মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন তারা। তাদের অবস্থানের কারণে সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকায় জানাজার দাবিতে সারারাত মরদেহ নিয়ে যেতে দেননি তারা। মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে গেলে দলটির নেতাকর্মীরা হাসপাতাল ও শাহবাগ এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়।
এরপর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশের কড়া পাহারায় গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।এর আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে গত রোববার বিকেলে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়।
এদিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। তিনি জামায়াতের রাজনীতির পাশাপাশি ওয়াজ করা বা ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।