আমি থাকাকালীন স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি করলে কেউ রেহাই পাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন, আমি থাকাকালীন স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি করলে কেউ রেহাই পাবে না। আমি সারাজীবন দুর্নীতি করিনি। আর ভবিষ্যতেও করবো না। আমি থাকাকালীন কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেবো না এবং দুর্নীতি করে কেউ রেহাইও পাবে না।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুযোগ সুবিধাগুলো সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব হাসপাতালের লাইসেন্স নেই, অনুমতি নেই এবং যেগুলোর অবকাঠামো নেই, সেসব হাসপাতালগুলো বন্ধ করতে হবে। যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে এবং সে যে কেউ হোক তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডা. সামান্ত লাল সেন বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি শিল্প ঘন এলাকা, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে পোড়া অনেক রোগী ঢাকায় যায়। তাই নারায়ণগঞ্জের কোনো একটি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা- সেটি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। যে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটি খোলা হবে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকায় বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারপরই ইউনিটি খোলা হবে। এ ছাড়া সরকারের সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডা. সামান্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবার মান বৃদ্ধি পেলে শহরে রোগীর চাপ কমবে। আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, একদিনেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে করোনা যায়নি। যারা বয়স্ক আছেন তারা লোকসমাগম এড়িয়ে চলবেন এবং মাস্ক ব্যবহার করবেন।

পরিদর্শনকালীন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, মুজিব কর্নার, শেখ রাসেল কিডস কর্নার এবং হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন।

এর আগে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনারগাঁওয়ের শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির আশ্রমে যান এবং আশ্রমে উপস্থিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রার্থনায় অংশ নেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা.ফরিদ হোসেন মিঞা, লাইন ডিরেক্টর (উপজেলা হেলথ কেয়ার) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, সিভিল সার্জন (নারায়ণগঞ্জ) ডা.আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত মহিবুর রব উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সাবরিনা হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহীম, সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, আরএমও ডা. মো. মোশাররফ হোসেন এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সূত্র : বিডি টুয়েন্টিফোর রিপোর্ট ডট কম

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ