নবাবপুরে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।

ফেনীর সোনাগাজীর নবাবপুরে পৃথক ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত সাইফুল ইসলাম নবাবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক, রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল কাশেম মাঝির ছেলে এবং শেখ রাসেল নবাবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোবারক ঘোনা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

আহত দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

দলীয় সূত্র ও আহতদের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে নবাবপুর ইউনিয়নের ২নং স্লুইজ গেইট এলাকায় তরমুজ কিনতে যান। নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহাদ, তার সহযোগী মো. ইমন, মো. জিলানী মো. শাওন ও আনিসুল হকের নেতৃত্বে ১০-১২জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সাইফুলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। কাঠ দিয়ে পিটিয়ে, কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক ফুলা জখম করে। সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বুধবার দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ রাসেল গত ১১এপ্রিল রাত ৮টার দিকে সওদা করতে নবাবপুর বাজারে যান। সেখানে তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী মো. শাওন, মো. জিলানী ও আনিসুল হক সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন দুর্বৃত্ত শেখ রাসেলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় তাকে কাঠ দিয়ে পিটিয়, লাথি, কিল ও ঘুসি মেরে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক ফুলা জখম করে। দুটি ঘটনায় সাইফুল ইসলাম ও শেখ রাসেল বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা এ এসআই খায়ের উলাহ পৃথক দুটি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত কর বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবন্থা গ্রহণের জন্য সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মাহবুব আলম সরকারকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে।

নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহাদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাইফুলের সঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে দলীয় ছোট ভাইদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি মীমাংসা করে নবাবপুর বাজারে তার হাতে এক হাজার টাকা দিয়েছি। কেন সে আবার অভিযোগ করেছেন সেটা আমার জানা নেই। শেখ রাসেলের সঙ্গে ১১এপ্রিলের ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম না।

নবাবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব বলেন, ঘটনাগুলো আমাকে নবাবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আমাকে জানিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়নি। তারপরও দলীয় বিষয় হিসেবে দলীয়ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নিব।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ