শিক্ষার্থীদের স্যানেটারি প্যাডের ভেন্ডিং মেশিন উদ্ভাবন

এম এ কবীর, ঝিনাইদহ।।

ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা স্যানেটারি প্যাডের ভেন্ডিং মেশিন উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই আবিস্কারে চারিদিকে এক রকম হৈ চৈ পড়ে যায়।

পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ৭ জন শিক্ষার্থীর একটি টিম এ মেশিন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের হয়ে চীন, হংকং, জাপান. সিঙ্গাপুর, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মালেশিয়াসহ বিশে^র ১৫ টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে সেরা ১০ প্রকল্পের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছে। এর আগে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ‘অটোমেটিক হাউস ক্লিনার এন্ড লাইফ সেফটি রোবট’র ও কৃষি ভিত্তিক রোবট ‘স্মার্ট এগ্রো রোবট’ তৈরী করে প্রযুক্তিগত কৃতিত্বের সাক্ষর রাখে।

টিমের প্রধান হৃদয় হোসেন মঙ্গলবার গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রতিক্রিয়া বক্ত করে বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা প্রায়ই স্যানেটারি প্যাড দোকান থেকে কিনতে যেয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। অনেক সময় বখাটে দ্বারা মানসিকসহ শারীরিক নিপীড়ণের শিকার হয়। ফলে দোকান থেকে প্যাড কিনতে অনেক দ্বিধাবোধ করে। যে কারণে অনেক মেয়ে স্যানেটারি প্যাড ব্যবহার করে না। এর ফলে মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যাসহ অনেক ধরনের ইনফেকশনের মত সমস্যায় ভুগতে হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা তৈরী করেছি ‘আইওটি বেসড স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন ফর স্যানেটারি প্যাড’। এই মেশিনের সাহায্যে একজন মেয়ে খুব সহজেই তার প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাড সংগ্রহ করতে পারবেন। প্যাড সংগ্রহ করার জন্য গ্রাহককে তার নিকটস্থ মেশিনের ভিতরে ১০ টাকা দিতে হবে যার বিনিময়ে সে খুব সহজে একটি সেনেটারি প্যাড পেয়ে যাবে। আবিস্কার টিমের আরেক সদস্য শারমিন আক্তার তন্নি বলেন, মেশিনের মধ্যে প্যাড ফুরিয়ে গেলে মেশিন ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিবে। তখন নিয়ন্ত্রকারী আবারো মেশিনে প্যাড দিয়ে আসবে। এতে দোকানী বা ব্যবহারকারী কাউকে বাড়তি সময় দিয়ে হবে না। টিমের সদস্য বক্তিয়ার আহম্মেদ বাপ্পি বলেন, একটি মেয়ে খুব সহজে মেশিনের নিজস্ব মোবাইল এ্যাপ ব্যবহার করে মেশিন কোন কোন লোকেশনে আছে তা দেখতে পাবেন এবং মেশিনের গায়ে লাগানো ছজ কোড স্ক্যান করে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করেও প্যাড ক্রয় করতে পারবেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: সাজেদ-উর-রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ‘আইওটি বেসড স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন ফর সেনেটারি প্যাড’ উদ্ভাবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের যখন যেটা প্রয়োজন আমরা সরবরাহ করেছি। আমরা প্রজেক্টটির সফলতা দেখতে পাচ্ছি।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।

আরো দেখুনঃ